বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে রাজস্ব খাতের ১০টি পদের মধ্যে ৮টি পদই শূন্য রয়েছে। বহিরাগতদের দিয়েই চলছে অসুস্থ প্রাণিদের চিকিৎসা সেবা।
গ্রামগঞ্জের গবাদী পশু পালনকারী ক্ষুদ্র খামারিদের অভিযোগ গবাদী পশু রোগে আক্রান্ত হলে বারবার ফোন করেও হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এমনকি হাসপাতালে গিয়েও কোনো চিকিৎসক পাচ্ছেন না তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
জানা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ১০টি পদের মধ্যে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেনারি সার্জনসহ গুরুত্বপূর্ণ ৮টি পদই শূন্য রয়েছে।একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী কাদের ও বহিরাগত ওষুধের দোকানের কর্মচারী দিয়ে চলছে গবাদি পশুর চিকিৎসা কার্যক্রম। ফলে চিকিৎসক সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে পশুর চিকিৎসা সেবা। একজন উপ-সহকারী ভেটেনারি চিকিৎসক অফিস রুমে বসে সাদা কাগজে ওষুধ লিখে দেন। গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি হলে বহিরাগত ওষুধের দোকানের কর্মচারীও চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
আলাউদ্দিন শেখসহ কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সরকারিভাবে গবাদিপশুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। বাইরের চিকিৎসক দিয়ে গবাদিপশুর চিকিৎসা করাতে হয়। এতে তাদের হয়রানি ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়।
কয়েকজন খামারি বলেন, তাদের গরু কোনো রোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ফোন করলেও চিকিৎসক আসে না। হাসপাতালে গেলেও চিকিৎসকের দেখা মেলে না। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বেসরকারি চিকিৎসক দিয়ে গবাদি পশুর চিকিৎসা করাতে হয়।
অবসরপ্রাপ্ত ড্রেসার কাদের বলেন, জনবল কম থাকায় তিনি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে জেলা ট্রেনিং অফিসার ও গোয়ালন্দে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ১০টি পদের মধ্যে বর্তমানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জনসহ ৮টি পদ শূন্য রয়েছে। তবে খুব দ্রুত শূন্য পদগুলোতে স্ব-স্ব পদে কর্মকর্তা ও কর্মচারী যোগদান করবে। তখন চিকিৎসা সেবায় আর কোনো সমস্যা থাকবে না।